Uncategorized

Bengali Poem

‘নব  উত্তরণ ‘

শুভ জন্মদিন জানাই তোমায়,

দীর্ঘ হোক তোমার জীবন ।
নব রূপে নব  আশায় নব গাথায় ,
জেগে উঠুক এ শুভক্ষণ ।।
সংকল্প করো আজ বিশ্বের প্রতি, 
যা কিছু জীর্ণ ও ক্ষয়প্রায় ,
তাতে  নবরূপ প্রকরণে হবে ব্রতী।
শুভ আলো ও রঙের ছোঁয়ায়।।
আজ তুমি শিশু, তবে কালকের নবীন।
ভুল দিয়ে করবে জয় । 
চিরন্তনের নিয়ম ভেঙে  যাকিছু গহীন ,
তা সরল করবে নিশ্চয় ।।
জন্ম তোমার মানব কল্যানের মানসে ।
করবে দুঃস্থের দুঃখ নিবারণ, 
নৃত্যে গীতে কাব্যে হরষে , 
বরণ করি  তোমায় হে ‘নব  উত্তরণ ‘।।
নব উত্তরণ নব চেতনার আলোকে ,
মহামারী ভয় ভাবনার বর্তমান ,
ছিন্ন করে ভবিষ্যতের নব গোলকে ,
আনবে নব জাগরণ ।
                    আর সেই হবে যথার্থ নব  উত্তরণ। ………………।।
                

— মধুমিতা চক্রবর্তী 
 

Uncategorized

Spiritual Bengali poems

আশীষ মাগি হে প্রভু

আশীষ মাগি———————-

আশীষ মাগি হে প্রভু

আশীষ মাগি…

বনলতা যেমন হাওয়ার পরশে 
হাসিতে লুটিয়ে পরে 
তেমনি যেন ক্ষুদ্র  পাওয়াতে 
খুশির সাগরে ভাসি ।।
আশীষ মাগি হে প্রভু 
আশীষ মাগি…
জননী যেরূপ  করুনার আঁচলে 
আগলে ধরে রাখে 
তেমনি যেন অভাগা  জনে 
স্নেহ পাশে বাঁধি ।
আশীষ মাগি হে প্রভু 
আশীষ মাগি…
কামনার উর্ধে প্রাণসখাকে 
প্রেম-সুভাষে মাতিয়ে তুলে 
দেবী  সম যেন প্রসারি বিশ্বে
পবিত্র প্রেমের  বাণী ।
আশীষ মাগি হে প্রভু 
আশীষ মাগি…
ক্রোধহীন লোভহীন স্থিতপ্রজ্ঞা হয়ে
যেন মিছে দম্ভ ছিঁড়ে 
ধৰ্মপথ দ্রষ্টা দৃঢ়চিত্ত পিতার ন্যায়ে 
নির্ভীক চিত্তে চলি ।
আশীষ মাগি হে প্রভু 
আশীষ মাগি…
তোমার ও রাঙা চরণ পরে  
ভক্তি পাত্র উজারি 
যেন করুণাসাগর তোমার প্রেরণায়ে 
ক্ষমাশীল হতে পারি।
——–মধুমিতা চক্রবর্তী 
Uncategorized

bengali poems on social thought

সৃষ্টির ক্ষমতা নেই তোমাদের ?

 মেয়ে রূপে রাজকন্যা

মেয়ে আমাদের মিষ্টি !
মেয়ে গুনে অনন্যা 
বিধাতার অতুলনীয় সৃষ্টি!! 
গভীর  স্নিগ্ধ  মন 
প্রকাশিত  তার  চোখে ,
পবিত্র সরল প্রাণ 
ভাসে স্নিগ্ধ মুখে ।
কিন্তু কোথায় সে ?
খুঁজে বেড়াই সর্বত্র 
আমাদের একমাত্র মেয়ে 
ফেরাও তাকে হে রুদ্র!

এতদিন  রেখেছি আগলে
আমাদের সেই ধন
অকুন্ঠে ছিঁড়ে ফেলে 
নিষ্ঠুর কিছু জন ?!!!!
নিথর রক্তমাখা  দেহ 
পরে পথের ধারে 
 কাঁদছে যেন লুকিয়ে 
অপমানে আর অনাদরে ।
উফ সেই দৃশ্য !
কখনো ভোলার নয়। ………
শিহরিত হয় দেহ 
দুঃখে অথচ ঘৃনায় ।
পুতুল নাকি সে?
লোভ লালসার বস্তু?
কলঙ্কিত কর তাকে!
তোমরা যত জন্তু!!!
জন্ম দিয়েছেন মা ।
পালন করেছেন বাবা। 
কোন অধিকারে তোমরা 
বসাও তোমাদের থাবা ????
খুব ক্ষমতা তোমাদের !
স্বীকার করতে হবে। ……..?!
ফুলের মতো মেয়েদের 
খাচ্ছ প্রতিটি পদে ?!
এতেই শেষ নয় !
প্রতিহিংসায় দ্বগ্ধ মন 
কাৎরায়ে হারানোর যন্ত্রনায় ।
কিন্তু সাহায্যের আশা ক্ষীণ ।!
শয়তানরা আজ মিলিত 
যত ছাপমারা লম্পটরা 
 ও তথাকথিত শিক্ষায়ে শিক্ষিত 
অশিক্ষিত যত জীবেরা ।
সমাজে বিচার নেই ।
হৃতসর্বস্বদের নিয়ে রাজনীতি….. 
  মৃতের আত্মীয়েরা মৃতপ্রায়…..
তবু এটাই সামাজিক রীতি !
আমরা জন্তুই রইলাম 
সমাজ কিসের জন্য ?
সভ্যতার, স্বাধীনতার এতো বলিদান 
তার ফল শূন্য !
মেয়েরা যথার্থ স্বাধীন 
করতে পারো না প্রমান ?
সঠিক শিক্ষিত জনগণ 
সমাজে অতি প্রয়োজন ।
বাবা মায়ের যত্নে লালিত 
সরল সেই মেয়েরা ..
দেখবে না দুঃস্বপ্ন ,
বেঁচে উঠবে মনেরছবিরা :
কূপমণ্ডুক ও কুৎসিত যত 
দলিত ও পিষ্ট হবে |
শাস্তি পাবে শয়তান সব 
তবেই মন প্রলেপ পাবে|| 
——-মধুমিতা চক্রবর্তী 
Uncategorized

Bengali poems on social thought


মানবিকতার প্রতি 

একটা রিক্রিয়েশন বলেও তো সত্যি কিছু চাই বলো?
সারা সপ্তাহের ক্লান্তি কাটে ,অবশ্য নতুন কিছু তো এ শহরে নেই। 
যদিও লাস্ট উইকেন্ড একটা ওয়াটারপার্ক গেছিলাম জানো ,
দারুন বানিয়েছে , তাই  একটু তো এক্সপেন্সিভ হবেই ।
আরে, রোজগার করে শুধুই ওড়াবো আমার কবেকার শখ।
কি হবে জমিয়ে রেখে ? পেনশন স্কিম আছে কেন?
নেশা করি না, এই বন্ধুবান্ধব আর  ফ্যামিলি নিয়েই সব ।
গাড়ি বাড়ি সব আছে আর কিসের প্ল্যান?

মুকুলের সখের মধ্যে তো খালি আছে  কয়েকটাই  মাত্র –
শপিং, নতুন ছবি দেখা ,রেস্টুরেন্টে খাওয়া  আর কিছুই নয় ।
আবার একটি উইকেন্ড, আবার ঘোরা যত্রতত্র;

এতো টাকা রোজগারের কত টুকুই বা খরচ করতে পারা যায় ?

একটা রেস্টুরেন্টের বাইরে তিন জন বন্ধুর  সানডে মিট ।
পুলোভার ভেদ করে শীতের হাওয়া মিশছে রক্তকণিকায় ।
মুকুল ও আশিষ  সমাজে দারুন ভাবে প্রতিষ্ঠিত ,
আর মানস সাধারণ কেরানি , তবে সচ্ছল ভাবে দিন চলে যায়। 

হঠাৎ আশীষের পুলোভারে টান,বলে “উঃ জ্বালাস না তো ,
যা ভাগ এখান থেকে।…, কোথা থেকে যে সব হাজির হয়?
শীতের সন্ধ্যায় পাতলা ফ্রক পরা বছর দশেকের মেয়েটা , “কিছু দাও,”
বলে ,দূরে তার মুমূর্ষু মা আর ছোট্ট ভাইকে দেখায়

“মা আমার বাঁচবে নাগো , ভাইটা আজ কিচ্ছু খাইনি ;
দয়া করে কিছু দাও কাকু, একটু কিছু খাবো ,বড্ডো খিদে পেয়েছে ।”
বিরক্ত মুকুল বলে ওঠে ,”এরা সব ঠগ ,জোচ্চোর , মিথ্যাবাদী,
এক পয়সাও দিও না , রাকেটের পান্ডা আশেপাশেই আছে 
  
“তোদের  সব জানা আছে ,নেশা করবি  টাকা নিয়ে ,
তোর বাবা মদ খাবে , আর তোরা চুরি করে বেড়াবি।  
খেটে খেতে পারিস না? পড়াশুনো কর এই বয়সে ,
সঠিক ভাবে চললে জীবনে আমাদের মতো দাঁড়াবি ।”

বাচ্চাটা সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো , চোখ ভরা জল  ,
“পড়ার টাকা নেই কাকু,মায়ের অসুখ,বাবা গত বছর একটা গাড়ির ধাক্কায়  …”
কথাটা শেষ করতে পারলো না, ভাই কাঁদছে তাই ছুটে গেলো ,
সমাজ সচেতন মুকুল ও আশীষ তখনো মুখর দেশ ও দশের চিন্তায় ।

মানস হঠাৎ নিস্তব্ধে মেয়েটার দিকে এগিয়ে গেলো ,
“এই যে এদিকে এস তো, এ টা নাও মনে হয় কাজে দেবে” 
পকেট হাতড়িয়ে একটা পঞ্চাশ  টাকার নোট তার  হাতে দিলো ,
“কিছু পুরোনো পোশাক আছে, তাকি তোমরা  নেবে?”

মেয়েটার চোখ খুশিতে চকচক করলো, সে কৃতজ্ঞ,
প্রকাশের ভাষা নেই , “নেবো কাকু”, বলে পরিবারের কাছে ছুটলো ।

মুকুল বলে, “কি করলে কি? এদের আস্কারা দিচ্ছ?
তোমাদের মতো লোকের জন্য সমাজ উন্নতি করে না,
লোক কর্ম বিমুখ হচ্ছে কারণ তোমরা ইন্ধন যোগাচ্ছ।
 অসামাজিক কার্যকলাপ আজকাল দৈনন্দিনের হিস্সা ।

আশীষ বলে ,”আর এই পাঁচ,দশ,বড়জোর পঞ্চাশ -একশো ,
এই দরিদ্র দেশের ,এই পতিত সমাজের কি দারিদ্র মেটাতে পারবে?
তোমার আমার কতটাই বা ক্ষমতা আছে বলো?
আর এতে কি লাভ? তুমি কি মনে করো বিরাট কিছু করলে?”

মানস একটু থেমে বলে, “সাধারণ কেরানি,তাই এর চেয়ে বেশি দিতে সাহস হয় না।
তবে তোমাদের পক্ষে হয়তো আরও অনেক দেওয়া সম্ভব।
মনে আছে স্কুলে স্যার বলতেন সবাই মিলে সমাজ গড়তে হবে? মনে আছে তাই না?
জানি না কি করে সম্ভব হবে যদি না হই সরব ।

মানবিকতা আজকাল বড়োই দুর্লভ।
হয়তো কিছু দুরাত্মা সমাজকে কলুষিত করছে ,
কিন্তু আমরা তো সঠিক শিক্ষা পেয়েছি,তাহলে কিসের অভাব?
অন্যের ব্যাথা অনুভব করতে কে আটকাচ্ছে?

একজনের পাপ কেন অন্যের বোঝা হবে?
যে অভাগা ,তাকে কিছু সৌভাগ্যবান কি বাঁচাতে পারে না?
আমাদের কাছে কণামাত্র পেলে যারা বাঁচবে,
তাদের সমবেত ভাবে বাঁচিয়ে রাখা কি যায় না?
হয়তো সকলে সংসার চালিয়ে বিশাল পদক্ষেপ নিতে পারে না?
কিন্তু যার মাস গেলে কিছু আয়ে আছে সেকি কিঞ্চিৎ ব্যায় করতে পারে না?
ওদের ফিরিয়ে না দিয়ে , ওদের পাপ পুণ্যের বিচার না করে,
আমরা কি অশান্তির মাঝে শান্তি  আনতে পারি না ওদের ছাদহীন ঘরে ?

একবার ভাব মুকুল, যদি তুমি ভাগ্য ফেরে গৃহহীন হও ,
একবার ভাব আশীষ ,যদি সন্তানের মুখে একদিন খাদ্য যোগান দিতে না পারো,
সেদিন কি মনে হবে না কেউ পাশে থাকলে ভালো হতো ?
সেদিন কি অনুভব করবে  না পাঁচটা টাকার মূল্য কত?”
Uncategorized

Kids Bengali poems

বাপরে বাপ 

সজনে ডাঁটার বিশাল ক্ষেতে 

গুটি গুটি যেতে যেতে ,
হঠাৎ দেখেই তোমায় ,
আমি তো প্রায় কোমায়।
ফুঁসছ তুমি রাগে ,
কাটবে পেলেই বাগে। 
ভয়ে হলাম পাথর ।
ঝড় আমার ভেতর । 
আর দিলো সেটাই কাজে, 
এলে না আর কাছে ।
ভাবলে আমায় জড়ো ,
তাই ক্ষতি নেই বড় ।
চলে গেলে অন্য পথে ,
প্রিয় প্রাণ রইলো সাথে। 
রক্ষে হলো ব্যাপারে বাপ। 
চলে গেছে মস্ত সাপ ।
Uncategorized

Modern Bengali Poems


কঠিন 

কঠিন তুমি কঠিন কেন ?
সহজ ভাষায়  বুঝিয়ে দাও।
কঠিন করে বললে আমি,
বুঝবো না একটা কথাও।

কি বলবে ভাবছো নাকি?
বুঝিয়ে বলতে পারছো না?
কঠিন করে ভাবছো বলে,
ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছ না।

তাই তো তুমি কঠিন বেজায়, 
কঠিন পথে খুঁড়িয়ে চলো ;
সহজ কোনো রাস্তা পেলে,
তুমি তাকে কঠিন বলো ।
Uncategorized

Motivational Bengali poems


আধুনিক 

আধুনিক আমরা ইঁট কাঠ পাথরে বন্দি ।

আধুনিক আমরা আঁটতে জানি ফন্দি ।

আধুনিক আমরা মেপে মেপে হাসি ।
আধুনিক আমরা নিষ্ঠুরতা ভালোবাসি। 

আধুনিক আমরা প্রেমকে করি নগ্ন ।
আধুনিক আমরা নেশায় থাকি মগ্ন ।

আধুনিক আমরা ধ্বংসে  থাকি ব্যস্ত ।
আধুনিক আমরা, প্রতিবেশী তাই ত্রস্ত। 

আধুনিক আমরা পরিবেশকে করি হত্যা ।
আধুনিক আমরা ডুবছে আমাদের সত্তা ।

আধুনিক কিন্তু  কিসের এতো অভাব ?
আধুনিক কিন্তু নেই সঠিক জবাব ।

আধুনিক কিন্তু সৌজন্য পড়েছে পিছিয়ে। 
আধুনিক কিন্তু আদিমবর্বরতা রাখছি বাঁচিয়ে। 

আধুনিক কিন্তু ঐতিহ্য গেছে হারিয়ে ।
আধুনিক কিন্তু সভ্যতাকে দিয়েছি নাড়িয়ে। 

আধুনিক  তাই  জ্বলতে দেবোনা ধরনী ।
আধুনিক তাই হাসবে কত জননী ।

আধুনিক তাই সকলে হবে সমান ।
আধুনিক তাই রক্ষা হবে প্রাণ ।

আধুনিক তাই বাঁচবে আবার পশুরা।
আধুনিক তাই শৈশব পাবে শিশুরা ।

আধুনিক তাই অক্ষয় হবে পৃথিবী ।
আধুনিক তাই সফল চিত্রকরের ছবি। 

আধুনিক আমরা নতুন আলো জ্বালবো। 
আধুনিক আমরা আধুনিক পৃথিবী গড়ব ।









Uncategorized

Spiritual Bengali Poems

হৃদয়বাসী

আমি দিশাহারা আমি উদ্ভ্রান্ত, 
তোমায় ডেকে চলি অনবরত।।

জানি না ঠিক কখন কবে ,
তুমি আমাকে সাড়া দেবে ।।

যা কিছু ঘটে আমার আসেপাশে, 
কিছু কি আছে আমার বশে ?

পছন্দ হলে খুশিতে হাসি। 
স্বপ্ন দেখি রাশি রাশি ।।

স্বপ্ন ভাঙে যখন আমার ।
রুক্ষ বাস্তব প্রকট আবার ।।

কঠিন পথে যখন যেতে হয় ।
বুক কাঁপায়ে অজানার ভয় ।।

মনে পড়ে না পাশেই আছো ।
পূর্বের মতোই  রক্ষা করছো ।।

এও তো তোমার ছলনা ।
তোমার কার্যসূচীর কিছুই বলোনা।। 

শুধুই আমি ভেবে মরি ।
যেমন করাও তেমন করি ।।

সাড়া দাও তুমি প্রিয়জনের  রূপে। 
তবু খুঁজে বেড়াই মন্ত্রে ও জপে।। 

তাই আমি অতি সাধারণ ।
বুঝি না তোমার কার্যকারণ ।।

সকলি করো তুমি মঙ্গলার্থে। 
সকলি করো বৃহৎস্বার্থে ।।

























Uncategorized

Kids Bengali poems

ফুল 

মিষ্টি তোরা ছোট্ট ফুল 
তোদের স্বপ্ন ছোটে কোন সুদূর। 
সবাই বলে করিস ভুল 
তবু  পৌঁছে যাবি অনেক দূর ।।

রাজা রানী পরী সকল
জীবন পায়ে তোদের কল্পনায়ে। 
পশু আর পাখির দল 
কথা বলে মনুষ্য ভাষায় ।।

তাই তো তোদের ছোট্ট জগৎ 
একক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে  ।
মিষ্টি হাসি অনাবিল ,সৎ 
আমাদেরো  মাতিয়ে রাখে ।।

বড় যখন হবি  তোরা 
দেখবি পক্ষীরাজ উড়িয়ে নিয়ে যায় না ।
বোঝা বয় ক্ষীণ ঘোড়া 
হরিণ পায়রা কথা কয় না ।।

নিষ্ঠুর রাজার ছোপটির ঘায়ে 
কাৎরায়ে যখন গৃহহীন প্রজা ।
আসে না পরী ফুলের দোলায়ে 
অসৎ রাজা পায়ে না সাজা ।।

জানি তোরা জীবন পথে 
অবাক হবি প্রতি পদে ।
চড়বি  তোরা স্বর্ণ রথে 
যদি মুখর হোস প্রতিবাদে ।।

হাসতে  যেন ভুলিস না 
নির্মল হাসি ভোলাবে অবাঞ্ছিতের অশ্রু ।
দৃঢ় হয়ে থাকবি তোরা 
হাবি দুঃখীর কল্পতরু ।।

বাঁচবে রূপকথা তোদের মধ্যে 
সকল অসহায়তার অন্ত হবে ।
স্বপ্ন ভাঙবে না জীবন যুদ্ধে 
জগৎ হবে শান্ত তবে ।।




Uncategorized

Kids Bengali poems


মিতালি 

রুদ্ধ শ্বাসে ক্রূদ্ধ  ইঁদুর 
দৌড়ে গেলো হাতির পানে 
কুটুস করে কামড়ে বলে ,
“ফেলবো নাকি একটানে?”

হাতি গেলো খুব ক্ষেপে 
বলে,”দেব গলা টিপে ;
ইঁদুর কিনা লড়তে এলি!
জানিস না আমি মস্ত হাতি?”

“এতেই হয় মাথা গরম”,
বললো তখন ইঁদুর ভায়া,
“তোর ভয় পালায়ে সবাই,
মাড়ায়েনা কেউ তোর ছায়া !”

“গায়ে আমার জোর বেশি
তাই তো খেলায় শুঁড়ে ,
আছে আমার মস্ত ভুঁড়ি 
তাই দেখেই থাকছে দূরে ।

তাতে আমার দোষটা কি?
আমি তো কিছুই করিনি ,
হাতি আমি নই  দুষ্ট 
কারকেই  দিই না কষ্ট ।”

অভিমানে হাতি তখন,
দুঃখে ভরা  নরম মন ,
“তাবলে তুই কামড়ে দিলি !
এটাকি তুই ঠিক করলি?”

বলেই হাতি কেঁদে ভাসায়ে ,
ইঁদুর তাকে কত হাসায়। ..
কাতুকুতু দেয় , সুড়সুড়ি দেয় ,
আবার কখনো নেচে দেখায়ে।

“কাঁদিস নারে হাতি দাদা ,
ভুল করেছি ,আর হবে না।
বন্ধু হবে বাঘের ছানা ,
হরিণ -ঘোড়া -গরু -গাধা ।

তোর সাথে নাচবে সবাই,
দুলবে সবাই  তোর শুঁড়ে ,
হনু দাদা ভালুক মশাই 
বসবে তোর পিঠ জুড়ে ।”

খুশি হাতি খুশি ইঁদুর 
খুশি ঝিঁঝি খুশি বাদুড়।
পাখিরা সব উড়ে বেড়ায় 
নাচে গায়ে ঢোল বাজায়ে।