একটা রিক্রিয়েশন বলেও তো সত্যি কিছু চাই বলো?
Bengali poems on social thought
একটা রিক্রিয়েশন বলেও তো সত্যি কিছু চাই বলো?
সজনে ডাঁটার বিশাল ক্ষেতে
জানি না ঠিক কখন কবে ,
তুমি আমাকে সাড়া দেবে ।।
যা কিছু ঘটে আমার আসেপাশে,
কিছু কি আছে আমার বশে ?
পছন্দ হলে খুশিতে হাসি।
স্বপ্ন দেখি রাশি রাশি ।।
স্বপ্ন ভাঙে যখন আমার ।
রুক্ষ বাস্তব প্রকট আবার ।।
কঠিন পথে যখন যেতে হয় ।
বুক কাঁপায়ে অজানার ভয় ।।
মনে পড়ে না পাশেই আছো ।
পূর্বের মতোই রক্ষা করছো ।।
এও তো তোমার ছলনা ।
তোমার কার্যসূচীর কিছুই বলোনা।।
শুধুই আমি ভেবে মরি ।
যেমন করাও তেমন করি ।।
সাড়া দাও তুমি প্রিয়জনের রূপে।
তবু খুঁজে বেড়াই মন্ত্রে ও জপে।।
তাই আমি অতি সাধারণ ।
বুঝি না তোমার কার্যকারণ ।।
সকলি করো তুমি মঙ্গলার্থে।
সকলি করো বৃহৎস্বার্থে ।।
“এতেই হয় মাথা গরম”,
বললো তখন ইঁদুর ভায়া,
“তোর ভয় পালায়ে সবাই,
মাড়ায়েনা কেউ তোর ছায়া !”
“গায়ে আমার জোর বেশি
তাই তো খেলায় শুঁড়ে ,
আছে আমার মস্ত ভুঁড়ি
তাই দেখেই থাকছে দূরে ।
তাতে আমার দোষটা কি?
আমি তো কিছুই করিনি ,
হাতি আমি নই দুষ্ট
কারকেই দিই না কষ্ট ।”
অভিমানে হাতি তখন,
দুঃখে ভরা নরম মন ,
“তাবলে তুই কামড়ে দিলি !
এটাকি তুই ঠিক করলি?”
বলেই হাতি কেঁদে ভাসায়ে ,
ইঁদুর তাকে কত হাসায়। ..
কাতুকুতু দেয় , সুড়সুড়ি দেয় ,
আবার কখনো নেচে দেখায়ে।
“কাঁদিস নারে হাতি দাদা ,
ভুল করেছি ,আর হবে না।
বন্ধু হবে বাঘের ছানা ,
হরিণ -ঘোড়া -গরু -গাধা ।
তোর সাথে নাচবে সবাই,
দুলবে সবাই তোর শুঁড়ে ,
হনু দাদা ভালুক মশাই
বসবে তোর পিঠ জুড়ে ।”
খুশি হাতি খুশি ইঁদুর
খুশি ঝিঁঝি খুশি বাদুড়।
পাখিরা সব উড়ে বেড়ায়
নাচে গায়ে ঢোল বাজায়ে।
আমার নাম রেখেছিলেন হৃদয়হরণ
ওনাদের বড়ো সাধের নাম
প্রথম সন্তান আমি…তাই
সকল পুঞ্জিত স্নেহে করেছিলেন বরণ।
বাবা মায়ের নয়নমনি আমি,
হৃদয় ভরেছিলো অনাবিল আনন্দে
আমায় কোলে পেয়ে …তাই
হৃদয়গ্রাহী নাম যোগালেন অন্তর্যামী।
হয়ে উঠলাম মধ্যবিত্তের শ্রেষ্ঠ ধন
সারাদিনের কঠিন পরিশ্রমেও
আমার খেয়াল রেখেছেন অনবরত…তাই
বোধহয় অকণ্টক সেই প্রতিটি ক্ষণ ।
ছোট বোনের সঙ্গে খেলতে গিয়ে,
আঘাত লেগেছে যখনি
কোলে তুলে নিয়েছেন দুজনকেই… তাই
কাটেনি অবহেলায় কেটেছে নির্ভয় ।
দুঃখ পেয়ে কেঁদে উঠেছি যখন
বুকের মাঝে আগলে রেখেছেন ;
ক্ষিদে অনুভবের আগেই খাইয়ে দিয়েছেন…তাই
নিশ্চিন্তে কেটেছে সেই জীবন।
সদাসহিষ্ণু হাস্যময়ী মা আর
আদর্শ ও দ্বায়িত্ববান বাবা
সাহস দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার…তাই
সাহস পেয়েছি স্বপ্ন দেখার ।
আর এই স্বপ্ন জীবনে আনলো বাণ
ডুবে গেলাম স্বার্থকতার নেশায়
ফিল্ম দুনিয়ার নায়ক হবো…তাই
ছাড়লাম ঘর আর প্রিয়জন ।
সংখ্যাতত্ত্বের চক্করে নাম দিলাম পাল্টে
নতুন আধুনিক নাম হলো
বাবা মা গেলেন মুছে…তাই
শুরু করলাম নতুন পথ চলতে।
নিজের নাম রেখে দিলাম ‘রাজ’
দর্শকের মনে রাজত্ব করে বেড়াই ।
মহানায়ক আমি নতুন বাড়িগাড়ি …তাই
ভুলেছি সন্তান ধর্ম পালন প্রধান কাজ ।
আমার স্ত্রী স্বনামধন্যা অভিনেত্রী
নিজের জীবনে অতি ব্যস্ত
এগোর লড়াই এ সম্পর্কের সুতোয় টান…তাই
আমাদের নিয়ে গসিপ পড়ে থাকি ।
ডিভোর্স হয়ে গেলো, কন্যা রইলো স্ত্রীর কাছে ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত চর্চা চলছে ।
স্নেহের পরশ খুঁজি…পাইনা…তাই
মুখ লুকিয়ে চোখের জল ফেলতে হচ্ছে ।
নিদ্রাহীন রাতের পরে ভোরে ,
বিরক্ত সেদিন ফোনের রিং শুনে ।
দুর্বল হাতে ফোন ধরেছি…তাই
হাত থেকে ফোনটা গেলো পড়ে ।
দূর থেকে ক্ষীণ উৎসাহিত গলা…
“হৃদয়হরণ কেমন আছিস বাবা?”
নিজেকে সামলাতে পারলাম না আর…তাই
অঝোরে কেঁদে ভাসালাম স্টেটাস গেলো না ভোলা।
সামলে বললাম “বাবা আমি বাড়ি যাবো,
মা আর বোন কেমন আছে…..?
কতদিন দেখিনি তোমাদের…তাই
বাড়ি গিয়ে মায়ের হাতে খাবো।”
বাবা বললেন,”বলিস না আর…,
পাড়ার লোক তোর সিনেমা হিট হয়েছে বললো :
তোর নাম পড়ছে দেখে গর্ব হবে …তাই
সিনেমা হলে সবাই মিলে গেলাম।
তোর নাম দেখতে পেলাম না ।
মন ভোরে তোর অভিনয় দেখলাম।
জানতে পারলাম তোর নাম হয়েছে ‘রাজ’…তাই
চমকে উঠেছিলাম,তবে খুশি হয়েছি বাবা।”
আর থাকতে পারলাম না,ছুটে গেলাম বাড়ি,
আমার বাবা মায়ের কাছে আমার শান্তি নীড়ে।
খসে পড়লো মুখোশ…তাই
জাগ্রত হলো ঝিমিয়ে পড়া নাড়ি ।
বললাম ওনাদের প্রণাম করে,
“স্বার্থক আমি তোমাদের পেয়ে,
তোমাদের হৃদয় হরণ করেছি…তাই
বাকি সকল তুচ্ছ ,আসল ঐশ্বর্য্য পেলাম ফিরে।”
বলে ফেললাম অকাতরে ,
“কারো মনের দরজা ছুঁতে পারিনি;
শুধু নাম করেছি এটা স্বার্থকতা নয়…তাই
রাজ গেলো হারিয়ে চিরতরে।
আজ আমি গর্বিত,নাম আমার হৃদয়হরণ ;
আমি আমার প্রাণ ফিরে পেলাম,
শুধু ভালোবাসলেই সফল হবো… তাই
শুধু সেবা করবো তোমাদের চরণ ।”
#spiritual bengali poems
#where can i get some spiritual new bengali poems
#some modern spiritual bengali poems